৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৬:২০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাইকে ঘোষণা দিয়ে বানিয়াচং এর দুই গ্রামের সংঘর্ষের দন্ধ সালিশ বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি

মাইকে ঘোষণা দিয়ে বানিয়াচং এর দুই গ্রামের সংঘর্ষের দন্ধ সালিশ বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি

দি‌লোয়ার হোসাইন : বানিয়াচং, হবিগঞ্জ

বানিয়াচংয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামে সংঘঠিত হওয়া সংঘর্ষের বিষয়টি সালিশ বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে হ‌বিগঞ্জ ২ আসন এর সংসদ সদস্য এড‌ভো‌কেট আব্দুল মজিদ খানের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ।

জানা যায় বানিয়াচংয়ের হাওড়ের একটি জলাশয়ে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দেশীও অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত নারী পুরুষ আহত হয়েছিল। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ইং সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের কামালখানী গ্রাম ও মজলিশপুর গ্রামের সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর ১টা পর্যন্ত চলেছিল সংঘর্ষ।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা ও জনপ্রতিনিধিরা হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে উভয় গ্রামবাসী আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে হবিগঞ্জ থেকে দাঙ্গা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানিভাঙ্গা নামে একটি জলাশয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাঁধ দেওয়ায় মজলিশপুর গ্রামের লোকজন ভোরে এই বাঁধ ভেঙে দেয়। পরে কামালখানী গ্রামের লোকজন মজলিশপুর গ্রামের লোকজনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সঠিক জবাব না দিয়ে তাদের বাঁধের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে মজলিশপুর গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে দেশি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। এদিকে কামালখানী গ্রামের লোকজনও মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পরও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।

হবিগঞ্জ-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান সংঘর্ষের বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়ে গত ২০ ডিসেম্বর রাতে বানিয়াচং বড়বাজার প্রেসক্লাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সালিশি ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে ২ জানুয়ারী সালিশ বিচারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য তারিখ ঠিক করেছিলেন।

সেই মোতাবেক আজ ২ জানুয়ারী সকালে বানিয়াচং আইডিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে এক বিশাল সালিস বিচার অনুষ্ঠিত হয় দীর্ঘ সময় আলাপ আলোচনা করে উভয় পক্ষের যাবতীয় বিরোধ সালিশ বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। উক্ত সালিশ বিচারে উভয় পক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছে এবং এলাকা জুড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে।

উক্ত সালিশ বিচারে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, জীবন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর হোসেন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন খান বাহার, আঙ্গুর মিয়া, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া, মিজানুর রহমান খান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান, গিয়াস উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, আলীয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মওলানা আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ ফুল মিয়া সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ ও সালিশি ব্যক্তিবর্গ সহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।