হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর একটি ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মাইশা আক্তারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামী সোহাগ মিয়াকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-৯ সিলেট ও র্যাব-১০ ঢাকা যৌথ অভিযান চালিয়ে ২৮ জুলাই (রবিবার) সকালে সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ডোবার মধ্যে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাইশা আক্তার পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবার ও স্বজনরা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে অবশেষে পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতা চান। তদন্তের এক পর্যায়ে স্বামী সোহাগের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। পরবর্তীতে প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে কেরানীগঞ্জ থেকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ মিয়া স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যার কারণ হিসেবে পারিবারিক কলহ ও সন্দেহের বিষয় উঠে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই নৃশংস ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, এই হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হোক এবং জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হোক।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।