জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাসের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আসছে মাদক ব্যবসায়ীরা! প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন!

হবিগঞ্জে মাসের মধ্যে জামিনে বের হয়ে আসছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদকে সয়লাব পুরো হবিগঞ্জ জেলা। অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনদিন। হবিগঞ্জের কোথাও না কোথাও সংঘর্ষের নিউজ প্রতিদিনই কম বেশি পাওয়া যায়৷ এসব কর্মকাণ্ডে প্রশাসন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন হবিগঞ্জবাসী।

গত ২১ মে  বুধবার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়ন থেকে (ডিএনসি’র) মাদকবিরোধী অভিযানে ৯০০পিছ মরণ নেশা মাদক (ইয়াবা) ও ৫০০গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো উপজেলার মন্দরী গ্রামের মৃত হিরণ মিয়ার পুত্র মোঃ মনফর মিয়া (৪৮)।

এসময় তার কাছ থেকে কেশ নগদ ৪১ হাজার ৪৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সুন্দরপুর বাজারে টমটমের পার্কিং নিয়ে চার গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এইদিকে বানিয়াচং উপজেলা সদরের বেশ কয়েকজন চিহ্নিত ইয়াবা সম্রাট ও ব্যবসায়ীদেরকে ইয়াবাসহ বানিয়াচং থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন।

অথচ এসব ব্যবসায়ীদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে ৫/৭/এমনকি ১৮ টার মতো মাদকসহ চুরি ছিনতাই এর মামলা রয়েছে।

এতোসব মামলা থাকার পরও বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া মহল্লার আব্দুল হক মিয়ার পুত্র সাইদুল হক ৩৯২ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে মাস খানেক পর পরই জামিনে বেরিয়ে আসে।

একই ঠিকানার ঠাকুর বাড়ির মুসা শতাধিক এর উপরে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে মাসের ভিতরে জামিনে বেরিয়ে আসে।

এছাড়াও তাম্বুলীটুলার কাঠ মেস্তরী মনির, নন্দীপাড়ার মিশুক চালক আলফাজসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ইয়াবাসহ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন তাদেরকে।

কিন্তু গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকসহ গ্রেফতার হলেও মাস খানেকের ভিতরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। তারপর শুরু হয় তাদের রমরমা ব্যবসা।

আর দিন দিন যেমন বাড়ছে ব্যবসায়ীর সংখ্যা, তেমনি বাড়ছে সেবনকারীর সংখ্যাও। বর্তমানে পুরো উপজেলা মাদক যেন মহামারীতে পরিণত হয়েছে। তেমনি যুব সমাজও দিন দিন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও এসব মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডও বেড়েই চলেছে। এসব মাদক ও অপরাধ কর্মকান্ডের ঘটনা নিয়ে প্রায় গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হচ্ছে।

তারপরও মাদকের বড় বড় গডফাদার ও অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে ঐ থেকে। পুরো বানিয়াচং উপজেলাবাসীকে মাদক ও অপরাধ প্রবণতার হাত থেকে বাঁচাতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের জনগণকে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং তাদেরকে ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিলেই হয়তো কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।