১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ২:৫০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

রাত পোহালেই ভোট, সহিংসতার শঙ্কা

শেখ শাহাউর রহমান বেলালঃ রাত পোহালেই তৃতীয় ধাপে হবিগঞ্জ সদরের ৮টি ও নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলবে। কিন্তু এই নির্বাচন ঘিরে রয়েছে সন্ত্রাস ও সহিসংসতার আশঙ্কা।

ইতিমধ্যে এই ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত, সংঘর্ষ, সহিংসতা, অগ্নি সংযোগ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

যদিও জেলা আওয়ামীলীগ ইতিমধ্যে ২৫ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিস্কার করেছে। তবুও থেমে নেই তারা। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়েই প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছেন প্রার্থীরা।

এখন ভোটের অপেক্ষা। রবিবার ভোরেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাবে, ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

‘দু-এক জায়গায়’ সংঘর্ষের কিছু ঘটনা থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ পর্যায়ে তৎপরতা বাড়ানোর কথা বলেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

এবার বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে না থাকলেও তাদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে। জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতের আছেও। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা আছেও। তারাই মূলত আলোচনার তুঙ্গে।

কেন্দ্র থেকে সতর্কতা হুশিয়ারি দিলেও তাদেরকে দমাতে পারেনি। এর প্রধান কারণ হলো স্থানীয় পর্যায়ে এমপি বা কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রুপিং।

এদিকে নির্বাচনের দিনেও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগেই যে মাত্রায় সহিংসতা হচ্ছে, সেটা দেখেই এই আশঙ্কা। তবে কেউ এই সহিংসতার দায়িত্ব নিচ্ছেন না। খোদ নির্বাচন কমিশনও কেবল বিব্রত এবং উদ্বিগ্ন’ হওয়ার মধ্যেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ ভোট প্রদানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাৎক্ষণিক এ্যাকশন

তবে এই সংঘাত ও সংঘর্ষ ঠেকানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। কিন্তু ইসি বলছে, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সংঘাত হওয়ায় অনেক সময় ঠেকানো যায় না।

অধিকাংশ সংঘাত ও সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।

জানাযায়, নবীগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোপলার বাজার টোলপ্লাজা এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ মিছিল ও সমাবেশের চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে পুলিশ তা ভুন্ডুল করে।

এর আগে গজনাইপুর ইউনিয়নের দেওপাড়া বাজারে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবের আহমেদ চৌধুরীর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পোস্টার-ব্যানার, চেয়ার পুড়ে যায়। পাল্টা পাল্টি অভিযোগ উঠে নৌকা প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে। এনিয়ে সংবাদ সম্মেলও করা হয়।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘষের্র ঘটনাও ঘটেছে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ৮টি ইউনিয়নে ৪৪৬ জন প্রার্থী লড়ছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ১০১ ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যের পদে ৩১২ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করবেন ।

চেয়ারম্যান পদে ১ নম্বর লোকড়ায় ৮ জন, ২ নম্বর রিচি ৩ জন, ৩ নম্বর তেঘরিয়ায় ৬, ৪ নম্বর পইলে ২, ৫ নম্বর গোপায়া ৫, ৬ নম্বর রাজিউড়া ৪, ৯ নম্বর নিজামপুরে ২ ও ১০ নম্বর লস্করপুর ইউনিয়নে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ১৩টি ইউনিয়নে ৭০৬ জন প্রার্থী লড়ছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ১৭৭ ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যের পদে ৪৭০ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করবেন।