১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১২:৩৭

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

সকল ক্ষেত্রে সবাইকে দ্বায়িত্বশীল ভুমিকা রাখতে হবে – অতিরিক্ত সচিব

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামান বলেছেন, “অনেক সময় আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি বিভিন্ন এলাকার নারী ও শিশু বিষয়ক অপরাধ কর্মকান্ডের খবর। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের কাছে সঠিক তথ্য আসেনা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে মাঠ কর্মকর্তাদের সাথে বসে তথ্য উপাত্ত বিচার বিশ্লেষন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

“জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমের অনলাইন করার ফলে এখন অনেকটা বাল্য বিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এখনো অল্প কিছু অসাধু লোকের কারণে শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিবাহ রেজিস্ট্রি কাজী, মসজিদের ইমাম, চেয়ারম্যান এবং মেম্বারসহ সবাইকে আরো দ্বায়িত্বশীল ভুমিকা রাখতে হবে। যাতে করে সরকারের নারী ও শিশুর জন্য গৃহীত উদ্যোগ গুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়।”

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং বাল্যবিবাহ রোধ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ২০১৯ সালে হবিগঞ্জে ধর্ষণের ঘঠনা ঘঠেছে ১০২, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৯৫, বাল্য বিবাহ থেকে পরিত্রাণ ২৩, ২০২০ সালে ধর্ষণ ৭১, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৮৯, বাল্য বিবাহ থেকে পরিত্রাণ ৪ এবং পারিবারিক সহিংসতা ১। এছাড়া ২০২১ সালে ধর্ষণ ৬২, নারী ও শিশু নির্যাতন ২১৪, বাল্য বিবাহ থেকে পরিত্রাণ ৮ এবং পারিবারিক সহিংসতা ৭।

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মাহফুজা আক্তার শিমুল, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ইসমত আরা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আরা বেগম প্রমুখ।