হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে বিগত ৬ মাসে কয়েক কোটি টাকা সেগুন গাছ পাচার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল রবিবার হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ডঃ ফরিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে সাতছড়ি উদ্যানের রিজার্ভ ফরেস্টের অভ্যন্তরে মূল্যবান সেগুন গাছ কাটার ও চুরি হওয়ার আলামত পান।দীর্ঘ সময় পরিদর্শন করে এসব এসব বিষয়ে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাসও দেন জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমান।
তাদের পরিদর্শনে অন্তত ১০ বড় সেগুন গাছ চুরি হওয়ার আলামত পান। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিটি গাছে ১০০-১৫০ করে কাঠ রয়েছে।।যার সম্ভাব্য বাজার মূল্য ৪৫ লক্ষ টাকা।
এড়াছা সেগুন গাছ পাচারের মূলহোতা সাতছড়ির উদ্যানের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ,জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট নূর মোহাম্মদের ও তেলমাছড়ার বিট অফিসার মেহেদী হাসান বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
এছাড়া বনের অভ্যন্তরে আরো একাধিক সেগুন গাছ কাটার আলামত অনুসন্ধান করার প্রক্রিয়াও চলছে।
প্রসঙ্গত, কালবেলা প্রতিনিধি মুজাহিদ মসি ও হবিগঞ্জের আয়না পত্রিকার স্টাফ রিপোর্ট ত্রিপুরার দেবনাথ নামে দুই জন সাংবাদিক ওইসব সেগুন গাছ চুরির ভিডিও ধারণ করতে গেলে ঐসব বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হামলার শিকার হন।পরবর্তীতে এটি নিয়ে বন বিভাগ তদন্ত কমিটিও গঠন হয়েছে।