১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা ৭:৪১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। টাকা ফিরত না পেয়ে অবশেষে নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ব্যবসায়ী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল।

নিরুপায় ব্যাবসায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ চার দিকে নানান আলোচনা ও সমালোচনার জন্মদিয়েছে। ব্যবসায়ী রুমেল হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন আল আমিন ফার্মেসীর সত্ত্বাধীকারী।

লিখিত অভিযোগে ব্যবসায়ী রুমেল উল্লেখ করেন- হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরান এক প্রতারক প্রকৃতির লোক। সে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ভয়ভীতিসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে আত্মসাত করে আসছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারী বিকেলে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরান পুর্ব পরিচয় থাকার সুবাধে তেতৈয়া এলাকায় একটি বালু মহালে ব্যবসার সাথে ব্যবসায়ী রুমেলকে সম্পৃক্ততা করার প্রলোভন দেয়। আর তার বিনিময়ে সে রুমেলের কাছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবী করে। এতে রাজি হয়ে ওই দিনই ব্যবসায়ী রুমেল তাকে ৭৫ হাজার টাকা দেয়।

পরবর্তীতে একই বছরের ২ মার্চ অবশিষ্ট ৫০ হাজার টাকা নেয় ইমরান। কিন্তু টাকা দেয়ার প্রায় মাসখানেক পেরিয়ে গেলেও ইমরান ওই ব্যবসায়ীকে তার বালু ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত করেনি।

এসময় ওই ব্যবসায়ী তার টাকা ফেরত চাইলে সময় নিতে থাকে ইমরান। বার বার টাকা চাইলেও জেলা ছাত্রদল সভাপতি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা ও ঐ ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।

এছাড়াও তাকে প্রাণে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই ভোক্তভূগী ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল বলেন, “জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমরান আমার দোকানে বসে ব্যবসায় শেয়ারের কথা বলে। তার কথায় রাজি হয়ে দুবারে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। আমার প্রয়োজনে তার কাছে টাকা চাইলে দেই দিচ্ছি করতে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে টাকা ফেরত দিচ্ছেনা। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি সুষ্ঠ বিচার চাই।”

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী বলেন- “টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বিষয়ে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের ব্যক্তিগত মুটোফোনে বার বার চেষ্টা করেও বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।