১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ১২:২৮

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

১০০০ কোটি টাকা জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামীণফোন

গ্রামীণফোনের রিভিউ আবেদনে ‍গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের রায়ে ১০০০ কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশের পর শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় অপারেটরটি। আপিল বিভাগের রায়ের পর বৃহস্পতিবার বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, টাকা না দিয়ে গ্রামীণফোনের যাওয়ার আর জায়গা নেই বলে তিনি মনে করেন। অপারেটরটি এবার টাকা দিয়ে দেবে বলে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির চেয়ারম্যান তার আশার কথা জানিয়েছিলেন। টাকা জমা দেয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন বলছে, তারা বাংলাদেশের আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। গ্রামীণফোন ও এর কর্তৃপক্ষের উপর বিটিআরসি যেসব চাপ প্রয়োগ করেছে সেখানেও আদালতের কাছে সুরক্ষা প্রত্যাশা করেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘এনওসি বন্ধ, লাইসেন্স বাতিলে কারণ দর্শানোর নোটিশ, নতুন নম্বর সিরিজ না দেয়া এবং প্রশাসক বসানোর হুমকির মতো বিধিনিষেধ ও চাপ প্রয়োগ করেছে বিটিআরসি। এতে তাদের গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলেছে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে’

গ্রামীণফোনের রিভিউ আবেদনে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আদেশে বলেছিলেন, সোমবারের মধ্যে আগে বিটিআরসিকে ১০০০ কোটি টাকা দিয়ে আসুন এরপর ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে’

এরআগে আপিল বিভাগের রায়ে সোমবারের মধ্যে (২৪ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোনকে ২০০০ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। পরে গ্রামীণফোন সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে। রিভিউ আবেদনে অপারেটরটি ৫৭৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করে, যা তারা এক বছরে সমান বারোটি কিস্তিতে পরিশোধ করতে চাইছিল তারা। তবে আবেদনে ওই প্রস্তাব আমলে নেয়নি উচ্চ আদালত। অডিট আপত্তিতে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে মোট ১২ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা হিসেবে দাবি করে। এর মধ্যে বিটিআরসির অংশ ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি আর এনবিআরের অংশ ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। বিটিআরসির পাওনা দাবিকৃত ৮ হাজার ৪৯৪ কোটির টাকার মধ্যে মূল টাকা হলো ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। বাকি ৬ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা বিলম্ব ফি, যেটি মূল টাকার ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে হিসাব করা হয়েছে।