৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১০:৫৫

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

১৪ বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে গেল ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ সদস্য

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের জেলা কারাগারে ১৪ বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে গেল ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ সদস্য। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় বাল্লা সীমান্ত দিয়ে কড়া পাহাড়ায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ বাল্লা বিজিবির সহায়তায় তাদেরকে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

যুবকরা হলো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলাই জেলার মনুঘাট থানা এলাকার সবিমোহন ত্রিপুরার ছেলে অন্তমোহন ত্রিপুরা (৩৭) শোভন দেববর্মার ছেলে মৃনাল কান্তি দেববর্মা(৩৫) ও রিয়াসাদে দেববর্মার ছেলে অয়নদয় দেববর্মা (৩৮)।

পুলিশ জানায়, ২০০৩ সালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় ত্রিপুরা রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৬ যুবককে অস্ত্রসহ আটক করে থানা পুলিশ। পরে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আদালতে বিচার কার্যক্রম শেষে তাদের প্রত্যেককে ১৪ বছর কারাদন্ডের আদেশ। কারাভোগ শেষে তাদের ২ জনকে দুই মাস আগে সীমান্ত দিয়ে এবং একজনকে দেড় বছর আগে হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়।

নাশকতা মোকাবেলায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ এর চৌকস দলের বিশেষ মহড়া

বাকী ৩ যুবককে আনুষ্ঠানিকতা শেষে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ জেলা কারাগার থেকে চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে ভারতের ত্রিপুরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বেলা আড়াইটার দিকে কড়া পাহাড়ায় তাদেরকে চুনারুঘাট থানার এসআই আল আমিন ও হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাল্লা বিজিবির সহযোগিতায় ত্রিপুরার ধলই জেলার মনুঘাট থানার বি এস শুভেন্দ্র দেব এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

একই সময়ে দুই মাস আগে ভারতে আটক বাংলাদেশি নাগরিক চুনারুঘাট উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রঞ্জন খানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় বিএসএফ। রঞ্জন দুই মাস আগে ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলায় চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করে কয়েকদিন আগে মুক্তি পায়। বিএসএফ রঞ্জনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য বলেছে।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, পুলিশ-বিজিবি ও বিএসএফ মিলে উভয় দেশর নাগরিকদের হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে

উল্লেখ্য্য, ৯০ দশক থেকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কর্মীরা তৎপর ছিল। ২০০৫ সাল পর্যন্ত তারা সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে আস্তানা গড়ে বসবাস করেছিল। একসময় উপজেলা সাতছড়ি এলাকা ছিল তাদের আশ্রয়স্তল।

২০০৫ সালের পর তারা পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায়। আবার অনেকেই তখন পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে র‌্যাব কয়েক দফা অফিযান পরিচালনা করে তাদের রেথে যাওয়া বিপুল পরিমান নানা ধরনের মেশিনগানসহ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করে।