১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১২:৫৩

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

৭৬ বছর বয়সেও জুটেনি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড

৭৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড পায়নি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের অসহায় আয়েশা আক্তার। বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা প্রদান সরকারের একটি ভাল উদ্যোগ।

রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী এই ভাতার একজন প্রকৃত দাবিদার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের মৃত আফতাব আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার। জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম সাল (১৯৪৫) অনুযায়ী বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৬ বছর।

স্থানীয়রা জানায়, ২৫ বছর পূর্বে তাঁর স্বামী মারা গেছেন। অথচ এখনও তার কপালে জুটেনি বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড। বৃদ্ধা আয়েশা আক্তারের প্রশ্ন ‘আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড পাব?

আয়েশা আক্তারের স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তারাও স্বামীর বাড়ি চলে গিয়েছেন। নেই কোন ছেলে সন্তান।

স্বামী মারা যাওয়ার পর মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে বয়সের ভারে কর্মশক্তি হারিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে। অনেকটা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে বৃদ্ধা আয়েশার।

প্রতিদিন অন্যের হাতের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাকে। কোন কোন দিন এক বেলা খাবার জুটলেও অন্য বেলায় না খেয়ে থাকতে হয়।

ঈদের মতো বড় উৎসবে তাঁর একটু খোঁজ নেয়ার কেউ নেই। অথচ এখনও তার কপালে জুটেনি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড।

এই বৃদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, আমার দেখা মতে কত চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলো কিন্তু আমার দিকে কেউ চেয়ে দেখলোনা।

তিনি আরও বলেন, আগে আমি অফিসে গিয়েছি কিন্তু কাজ হয়নি। তাই এখন আর তাদের কাছে যাই না।

এ ব্যাপারে বহরা ইউ/পি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ আসেনি। বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতার কার্ড পাওয়ার যোগ্য কেউ থাকে তাহলে চেষ্টা করবো দ্রুতই ব্যবস্থা করে দিতে।