জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে মৌসুমের প্রথম ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে রবি শস্য ও বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতি

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের হাওরে মৌসুমের প্রথম ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে রবিশস্য ও বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে ঝড় আর শিলাবৃষ্টি বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাওরগুলোতে বয়ে যায়।

ঝড়ে ঘর-বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিভিন্ন গাছপালার ডালপালা ভেঙ্গে ফেলে।

বানিয়াচংয়ে মৌসুমের প্রথম ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে রবি শস্য ও বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতি

এ সময় ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় রবিশষ্য ও বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দানিয়ালপুর হাওরের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন জানান, বর্তমানে রবিশষ্যর মাঠে মাঠে মিষ্টি লাউ, তরমুজ, শষা, টমেটো, বেগুন, গম, সরিষা সহ অনেক ধরনের পাকা আধা-পাকা ফসল রয়েছে। শিলাবৃষ্টি হওয়ার কারনে এ সমস্ত ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

৬ নম্বর কাগাপাশা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আকবর হোসেন রাজু জানান, লোহাজুড়ির হাওড়ে বোরো ফসলের জমিতে বড় বড় শিলা পড়ার কারনে ধানের কচি গাছগুলো পিষ্ট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং কৃষি বিভাগের তথ্যে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মাঝে ১, ২, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর সহ মোট ৬টি ইউনিয়নের কৃষকগন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

এর মাঝে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৬ নম্বর কাগাপাশা ও ৭ নম্বর বড়ইউড়ি ইউনিয়নে। ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমান ২.৫৫ হেক্টর রবিশষ্য ও ১১১ হেক্টর বোরো ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এনামূল হক জানান, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, আমি খোজ খবর নিয়েছি। ব্যাপক কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহায়তা এলে তা পৌছে দেওয়া হবে।