হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ২ নম্বর মুড়াকরি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
গত রবিবার স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার হীরাই মিয়া কিছু গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই রাস্তার নিচ দিয়ে একটি পাইপ বসানোর কাজ শুরু করেন। উদ্দেশ্য ছিল গ্রামে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সঠিক প্রকৌশল পরামর্শ ছাড়া এবং পরিকল্পনাহীনভাবে কাজ করায় পানির প্রবল চাপে রাস্তাটি মুহূর্তেই ভেঙে যায়। এতে করে সুবিদপুর, লক্ষ্মীপুর, ধরমণ্ডলসহ লাখাই, নাসিরনগর ও মাধবপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা এখন হেঁটে বা বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছে না, ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হীরাই মিয়া কোনো ধরনের সরকারি অনুমতি বা প্রকৌশল পরামর্শ ছাড়াই এই ড্রেনেজ পাইপ বসানোর উদ্যোগ নেন। তার এই অনিয়মতান্ত্রিক কাজের কারণেই এই দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, “রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ। ছোট ছোট শিশুদের বাঁশের সাঁকো পার হওয়া খুব বিপজ্জনক।”
এ বিষয়ে মেম্বার হীরাই মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, ইঁদুরের গর্তের কারণে রাস্তাটি ভেঙেছে। তবে পরবর্তীতে স্বীকার করেন, পাইপ বসানোর সময় পানির চাপেই রাস্তাটি ভেঙে যায়।
মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল মোল্লা বলেন, “গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পানির চাপে রাস্তা ভেঙে গিয়ে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।”
ঘটনার বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটি মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।