হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করে আসছিল। এতে সাধারণ যাত্রীরা অনলাইন বা কাউন্টার থেকে টিকিট না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করে র্যাব-৯ সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন—
মোঃ সোহেল মিয়া (৩৩), পিতা: আব্দুল নূর, সাং: দক্ষিণ বড়চর, থানা: শায়েস্তাগঞ্জ, জেলা: হবিগঞ্জ। মোঃ জলিল সরদার (৪০), পিতা: মৃত জুনায়েদ মিয়া, সাং: নোয়াগাঁও, থানা: বানিয়াচং, জেলা: হবিগঞ্জ। এনাম মিয়া (৩৪), পিতা: সাঈদ আলী, সাং: দাউদনগর, থানা: শায়েস্তাগঞ্জ, জেলা: হবিগঞ্জ।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ রেল টিকিট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে র্যাবের সদস্যরা গ্রেফতারকৃতদের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসামীদের দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯”-এর ৪০ ধারায় প্রত্যেককে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
এরপর আসামীদের হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
র্যাব-৯ এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান —“রেল টিকিট কালোবাজারি একটি সামাজিক অপরাধ। সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় রোধে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। জনগণের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।”
স্থানীয় যাত্রীরা র্যাবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,“দালালদের কারণে সাধারণ মানুষ অনেকদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছিল। র্যাবের এই অভিযান যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।”