১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৯:০৬

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জে নতুন ধানের বাজার মূল্য কম থাকায় হতাশ কৃষক

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে নতুন ধানের বাজার মূল্য কম থাকায় হতাশ কৃষক । এ দামে তাদের উৎপাদন ব্যয়ও উঠবে না বলে জানান একাধিক কৃষক। জেলার বানিয়াচং হাওরসহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাওর এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার মণ নতুন ধান আসছে। তবে দাম খুবই কম।

এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। তবে বৈশাখের শুরুতে হাওরে ধান কাটা শুরু হলেও শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা। ধান কাটতে দিনমজুরের প্রতিদিনের মজুরি ৬০০-৭০০ টাকা।

জানা যায়, হবিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে প্রতিমণ মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। তবে চিকন ধানের বাজার দর ৫০০ টাকা। কৃষকরা বলছেন, প্রতিমণ ধান উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ৬০০-৬৫০ টাকা। বর্তমান বাজার দরে ধান বিক্রি করে কৃষকরা লোকসানে পড়ছে।

বানিয়াচং উপজেলার কৃষক মনজুর হোসাইন বলেন, ‘ধান কাটার মজুরিসহ বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচে প্রতিমণ ধান উৎপাদনে যে খরচ হয়েছে, বিক্রি করে তা উঠানো যাচ্ছে না। লোকসানে ধান বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করব কিভাবে বুঝতে পারছি না।’

হবিগঞ্জের আড়ৎদার মনির খা জানান, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে নতুন ধানের দাম কমই থাকে। কারণ এখন আমদানি করা ধান আধা শুকনা ও ভেজা। পুরোপুরি শুকনা ধান এখনো আমদানি শুরু হয়নি। কৃষকরা জমিতে ধান কাটার পর আধা শুকনা ধান বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে আসছে।

ভাসমান বেডে তলাবিহীন পদ্ধতিতে শীতকালীন সবজী চাষ

আড়ৎদার সাখাওয়াত হোসেন জানান, আশেপাশের রাইস মিলগুলো এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। সরকারি গুদামগুলো নতুন ধান কেনা শুরু করেনি। মে-জুন মাসে সরকার নতুন ধান কেনা শুরু করলে ধানের দাম আরও বাড়বে।

খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী জমির আলী জানান, ধানের বাজার দর এখন কম হলেও সরকারি গুদামগুলোতে নতুন ধান কেনা শুরু হলেই বাজার দর বেড়ে যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক জানান, এবার হাওরে বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কয়েক লাখ টন ধান কৃষকের ঘরে উঠবে। তবে বাজার দর কম থাকাটা দুঃখজনক।