বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবলের সমালোচিত উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে আবারো বদলী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ১৪ মে) প্রধান প্রকৌশলী মো: খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি পত্রে নারায়নগঞ্জ অঞ্চলের তত্বাবধায় প্রকৌশলীর দপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে বদলী করা হয়েছে। এই আদেশ জনস্বার্থে জারী করা হয়েছে এবং এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হইবে।
এর আগে গত ৬ মে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে বদলী করা হয়।
অবশেষে ময়মনসিংহে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে। বদলীর আদেশ শুনে উপজেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ও বাহুবলের সুশীল ব্যক্তিবর্গ স্বস্থি প্রকাশ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তার বদলীর আদেশ শুনে দিনভর ছিল তাকে নিয়ে আলোচনায় মুখর।
সর্ব প্রথম গত ২১ এপ্রিল শাস্তিমূলক বদলী হিসাবে ময়মনসিংহ বদলী করা হয়।
প্রসঙ্গত, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরী বাহুবলে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা, স্টাফ-ঠিকাদার উপকারভোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার, অফিসে অনুপস্থিতি, দেরী করে অফিসে আসা, রাতভর গান-বাজনা নিয়ে মগ্ন থাকা, নেশাগ্রস্থ হওয়া প্রভৃতি কারণে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। ইতিপূর্বে তিনি নিজ অফিসের হিসাব রক্ষক মীর মাহবুবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হরিপদ দাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।
সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সকাল ১১টারদিকে নিজ অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান দুলালকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে বহিরাগত কয়েক সহযোগি নিয়ে শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতন করেন। পরে দুলালকে স্থানীয় লোকজন ও কয়েক স্টাফের সহযোগিতায় তাকে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দায়িত্ব কর্তব্যে অবহেলার কারণেই বাহুবলের অনেক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রায় থেমে ছিল। সম্প্রতি গোলাম মহিউদ্দিনের অনিয়ম দুর্নীতি দায়িত্বে অবহেলা ও চাকুরি বিধি পরিপন্থী কাজের জন্য হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোঃ আবু জাকির সিকান্দর তাকে শোকজও করেন। তার বদলীর পর বাহুবলের উন্নয়ন প্রকল্প গুলোর আলোর মুখ দেখা যাবে বলে অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন। নাকি সব প্রকল্প অন্ধাকারে ডেকে যাবে এ নিয়ে সংশয়ে আছে পুরো উপজেলাবাসী।