১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৯:৫৪

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে বিনামূল্যের বই পাচার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নাইট গার্ড ঠোটকাটা নুরুজ্জামান বিনামূল্যের (২০১৮-২০১৯) সনের সরকারী বই পাচার করেছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ৮টায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এক প্রেস ব্রিফিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।

এসময় সদর মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান ও কোর্টস্টেশন ফাড়ির ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া ও ওসি তদন্ত জিয়াউর রহমানসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভাঙ্গারী দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া ৫ সহস্রাধিক নতুন বই বিক্রি করা হয়েছিল ৮ টাকা কেজি দরে। বইগুলো বিক্রি করে শিক্ষা অফিসের নাইট গার্ড নুরুজ্জামান। এর পুর্বে রোববার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় গ্রেফতারকৃত আসামীরা।

তিনি আরো জানান, বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নাইট গার্ড ঠোট কাটা নুরুজ্জামানের নিকট থেকে ৮টাকা কেজি দরে ক্রয় করে লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের সফর উদ্দিন ওরফে মনা মিয়া। পরবর্তীতে সে ১১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে বানিয়াচং উপজেলার সাঘরদিঘীর পাড়ের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার নিকট। এই বই কালোবাজারীর ঘটনায় সর্বমোট গ্রেফতার হয়েছে ৪ আসামী। এছাড়া নাইট গার্ড নুরুজ্জামান পলাতক রয়েছে।

গত ১৪ জানুয়ারী সন্ধ্যায় কোর্টস্টেশন ফাড়ির ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির ৫ হাজার ৫৯০টি সরকারি নতুন বই জব্দ করে। এ সময় লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আমিরুল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে হাশিম মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া।

রাসেল ও হাশিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারী দুলাল এবং ২৮ জানুয়ারী মনা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রোববার তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়। এছাড়াও বই উদ্ধারের পর থেকেই বিষয়টি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ উল্ল্যা সার্বিক ভাবে পর্যবেক্ষন করেন বলেও জানান সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।

অপরদিকে, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এ রকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার জানান, এ বিষয়ে আরও ব্যাপক তদন্ত চলছে।