হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেছেন, “হবিগঞ্জ পর্যটন শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় জেলা। হাওর বাওর চা বাগান বেষ্ঠিত এই জেলা রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। ইতিমধ্যে হবিগঞ্জের পর্যটন শিল্পের সুনাম দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।”
“আমরা যদি প্রাকৃতিক সম্পদকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা এবং আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুললে পারি, তাহলে এই পর্যটন শিল্পের আরো প্রসার হবে।”
“বিশেষত দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ভ্রমণের ব্যবস্থা করা, হাওর অঞ্চলে পর্যটকদের জন্য মান সম্পন্ন বিশেষ ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ভ্রমণ পিপাসুদের সমাগম আরো বৃদ্ধি পাবে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।”
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান গতকাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের জন্য পর্যটন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে একথা বলেন।
এসময় হবিগঞ্জসহ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোঃ নুরুল ইসলাম।
মুক্ত আলোচনায় বক্তাগণ বলেন, হবিগঞ্জ তথা সিলেট বিভাগ পর্যটন শিল্পের একটি অপার সম্ভাবনাময় এলাকা। ইতিমধ্যে বেসরকারীভাবে বিভিন্ন এলাকায় পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। কিন্তু বড় একটি অংশ এখনো এই শিল্পের আওতার বাহিরে রয়েছে।
লক্ষীর বাওর একটি বিশাল পর্যটন এলাকা, পূর্ণিমা রাতে অবকাশ যাপনের জন্য একটি বৈচিত্রময় এলাকা এটি। এটাকে সরকারীভাবে পৃষ্ট পোষকতা করা খুবই জরুরী।
তাছাড়া সাতছড়ি এবং রেমা কালেঙ্গাতে যেসকল পর্যটকরা আসেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী। এসকল পযটন এলাকায় যদি টি-হাউজ করা যায় তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার পাশাপাশি বন্য প্রাণিরাও থাকবে নিরাপদ।
তাই এসকল এলাকায় সরকারী পৃষ্টপোষকতা যদি আরো বাড়ানো যায় তাহলে সরকার এ খাত থেকে অর্থনৈতিকভাবে আরো লাভবান হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু চৌধুরী, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ দাস সাগর প্রমুখ।