৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ২:৩১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

চুনারুঘাটের ছুরুক আলী, ভাষা ও মুক্তি সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক

ছুরুক চেয়ারম্যান। নামটা জড়িয়ে আছে ভাষার অধিকারের সাথে এবং মুক্তি সংগ্রামের সাথে। মুক্তির জন্য অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করে যিনি ছিলেন দেশমাতৃকার প্রেমে উজ্জীবিত এক সৈনিক।

চুনারুঘাট আওয়ামিলীগের প্রতিষ্ঠাতা ছুরুক আলী আন্দোলন সংগ্রামে সরব থাকতেন সব সময় । থাকতেন গণমানুষের পক্ষে। থাকতেন নির্যাতিত ও নীপিড়িত মানুষের কান্ডারী হয়ে।

ছুরুক আলীর পুরো নাম মোঃ আজিজুর রহমান ছুরুক আলী। ছুরুক চেয়ারম্যান বলেই পরিচিত ছিলেন। চুনারুঘাট উপজেলার ৩ নং দেওরগাছ গ্রামে তার জন্ম।

চুনারুঘাট পর্যায়ে ভাষা আন্দোলন , স্বাধীকার আন্দোলন ও মুক্তির আন্দোলন সহ অজস্র জাতীয় আন্দোলনে ভুমিকা রেখেছেন। সহ্য করেছেন পাক শাসকের অসহনীয় নির্যাতন, কারা বরণ করেছেন বারবার।

বঙ্গবন্ধুর আস্থা ভাজন আজিজুর রহমান ছুরুক আলীর বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রবল সখ্যতা ও টান ছিলো। বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন সৈনিক ছুরুক আলী পূর্ব হতেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।

দেশ যখন স্বৈরাচারের দুরাচারী নির্যাতনে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিলো তখন আজিজুর রহমান দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রবল ঝুঁকি নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলায় আওয়ামীলীগের পতাকা উড্ডীন করেন।

ভাষার দাবিতে ছুরুক আলী ছিলেন একজন সংগঠক। যাকে ভাষা সংগঠকও বলা চলে। সংঘঠিত করে অংশ নেন জাতীয় আন্দোলনে। এরপর বিভিন্ন আন্দোলনের পথ পরিক্রমা কে শেষ করে অবশেষে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ছুরুক আলী।

হাতে গ্রেনেড আর কাঁধে রাইফেল নিয়ে চলেন স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনতে। আলোর ঝলকানিতে শিহরিত হয়েছিলো পথ প্রান্তর। ছুরুক আলীর শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের ক্ষত চিহ্ন ছিলো। নির্যাতন করা হয়েছিলো তাঁকে প্রবলভাবে। এরপরেও ছিলেন অবিচল।

ছুরুক আলী গত বৎসর চারেক আগে মারা যান। এই বৎসর ও মৃত্যু বার্ষিকী চলে গেল ছুরুক আলীর। কিন্তু ছিলো না কোনো কর্মসূচি, ছিলনা তাঁকে স্মরণ করার তেমন কোনো উদ্যোগ। বিষয়টা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু যাদের টনক নড়ার কথা তাদের নড়েনি। বিনম্র শ্রদ্ধা সেই মহান ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ছুরুক আলীর প্রতি।