শরীফ চৌধুরীঃ দুর্ঘটনা নয় প্রেমে সাড়া না দেয়ায় হবিগঞ্জে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে ফেলে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জানা গেছে, সিএনজি অটোরিক্সায় শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায় জাকির হোসেন। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায় গাড়ি থেকে লাফ দিতে চায় ওই ছাত্রী।
অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় জাকির৷ এতে জেরিন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়।
সেখানে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯ জানুয়ারী মারা যায় এসএসসি পরিক্ষার্থী মদিনাতুল কোবরা জেরিন৷
আটককৃত জাকিরের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।
তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ার রিচি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সিএনজি অটোরক্সা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আহত করা হয় জেরিনকে। পরদিন ১৯ জানুয়ারী সকালে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রথমে ধারণা করা হয়ছিল দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার দাফন করান৷ কিন্তু বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হয়৷ তদন্ত করত গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
গ্রেফতার করা হয় সদর উপজেলার ধল গ্রামের জাকির হোসনকে। নিহত এসএসসি পরিক্ষার্থী মদিনাতুল কোবরা জেরিন স্থানীয় রিচি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিল৷ সে সদর উপজলোর ধল গ্রামের আব্দুল হাইর মেয়ে।