উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং প্রবল বর্ষণে সিলেট, সুনামগঞ্জের পর হবিগঞ্জে ও ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে বন্যা। জেলার ভাটি অঞ্চল আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই উপজেলার বেশ কিছু অঞ্চল ইতিমধ্যেই পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় মাঠে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
বন্যা কবলিত সব উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্টানকে আশ্রয়ণ কেন্দ্র ঘোষনা করা হযেছে।
শনিবার (১৮ জুন) হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুরাদ আলী।
পরিদর্শন কালে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন -হঠাৎ কালনী -কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আজকে আমরা বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে যারা পানি বন্ধী হযেছেন তাদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হলে আমাদের স্পীড বোর্ট তৈরি রয়েছে মাটে কাজ করবে। বন্যা পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় এ বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরিদর্শন কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে, বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরান হোসাইন, আজমিরীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক জয়ন্ত তালুকদার, সাংবাদিক ইমদাদুল হোসেন,মখলিছ মিয়া, স্বপন বনিক, এনামুল হক মিলাদ, ফরহাদ চৌধুরী প্রমুখ।