৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ১২:০০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাদকের আস্তানা

ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকায় সুকৌশলে গড়ে উঠেছে মাদকের আস্তানা। দর্শনার্থীরা প্রবেশে বাধা প্রদান করা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১সালে ধারাবাহিকতায় ৪ঠা এপ্রিল সকাল দশটায় তেলিয়াপাড়া চা বাগানের বড় বাংলোতে মুক্তিযুদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের এক ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সামরিক সভা।

এই সভায় মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা প্রনয়ণ করা হয়। পরবর্তীতে ১০ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় সামরিক সভাটিও এখানে অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মুক্তিযুদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এখানে। এখানে রয়েছে দুই তিন ও চার নম্বর সেক্টরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ।

প্রতিদিন শত শত পর্যটক এই ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে আসেন। কিন্তু তেলিয়াপাড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের প্রবেশে বাধা প্রদান করায় ঐতিহাসিক এই স্থানটি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দর্শনার্থীরা।

অথচ মাদকসেবীরা ঠিকই বিভিন্ন কৌশলে প্রবেশ করে মাদক সেবন করে স্মৃতিসৌধ এলাকার পবিত্রতা নষ্ট করছে।প্রবেশ করতে না পেড়ে অনেক পর্যটক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। তাদের মতে সার্বজনীন এই জায়গাটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।

তেলিয়াপাড়ায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় সুকৌশলে মাদকের আস্তানা গড়ে তোলেছে একাধিক বার পুলিশের হাতে মাদক সহ আটক মাদক পাচার কারী সন্তোষ তাতী ও বাতি কোখন তাতী রাজু সহ বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি।

এরা কালীমন্দিরের পাশে গড়ে তোলেছে মাদকের আস্তানা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকান মালিক বলেছে প্রতি দিন বিভিন্ন এলাকা থেকে বাইক নিয়ে শত শত বাইকার এখানে আসে মাদক সেবনের জন্য।
তাদের কে এলাকার মানুষ ভয়ে কিছু বলেনি।
মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে কিছু মাদক পাচার কারী আটক হলে ও সন্তোশ তাতী রাজু বাতি কোখন রয়ে যায় ধরা ছুয়ার বাহিরে।

সরেজমিনে স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, স্মৃতিসৌধ এলাকায় ও এর আশপাশের চা বাগানে অসংখ্য ফেনসিডিল খালি বোতল পড়ে আছে।

ঢাকা সিলেট পুরাতন মহাসড়ক থেকে তেলিয়াপাড়া চা বাগান ও বিজিবি ক্যাম্পে যাওয়ার রাস্তায় প্রবেশর পরে রাস্তার দুই পাশে চা বাগানে অসংখ্য ফেনসিডিলের খালি বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এব্যাপারে পর্যটকদের প্রবেশে বাধা প্রদানকারী চা বাগানের নিরাপত্তা কর্মী জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারনে আমরা কাউকে প্রবেশ করতে দেইনা।

অনেক সময় মাদকসেবীরা অন্য রাস্তা দিয়ে লুকিয়ে প্রবেশ করে মাদক সেবন করে বের হয়ে যায়।