১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১২:৩৩

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে ওসি‘সহ আহত অর্ধ-শতাধিক

আকিকুর রহমান রুমনঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আদর্শ বাজারের সেক্রেটারি হাফিজুর রহমানকে কিছু ব্যাবসায়ীরা না মানার জের ধরে প্রথমে বাজারের মধ্যে হাফিজুর রহমানের লোকজন ও রমজান আলীর লোকজনের মধ্যে তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে জানান বাজার কমিটির সাবেক সহ সভাপতি আনুয়ার মিয়া।

পরবর্তীতে দু‘পক্ষের লোকজনের বাড়ি বাজারের পাশ্ববর্তী হওয়ায় তাদের লোকজন মহল্লার মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

উভয় পক্ষের ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে বানিয়াচং থানার ওসি মোঃ এমরান হোসেন সহ অর্ধ শতাধিক লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
উভয় পক্ষের অন্যান্য আহতরা হলেন হাফিজুর রহমান(৫০), রমজান আলী (৪৫), মহিবুর রহমান (৪২), হাবিবুর রহমান (৪০), সেলিম মিয়া (৩৮), রাশীম মিয়া (৩০), মুবারক মিয়া (২৮), তাবারক মিয়া (২৬), জহিরুল মিয়া (৩৫), খলিলুর রহমান (২৮), অলিউর রহমান হৃদয় (২৬), ফানুর মিয়া (৩৫), আব্দুগনী মিয়া (৬০), আলাউদ্দিন মিয়া (৫৮), জিল্লুর মিয়া (২৪), মোতালিম (২৮), শাহালম (৩০) ও মুবিন মিয়া (১৩) আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

গ্রেফতার এড়াতে আহতরা বিভিন্ন প্রাইভেটে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানাযায়।

এদিকে গুরতর আহত রমজান আলীর গোস্টির আরজান আলীর পুত্র মুবিন মিয়াকে সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলা সদেরর ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের মাতাপুর মহল্লায়।

২০ফেব্রুয়ারী শনিবার রাত পৌনে ১০টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, মাতাপুর গ্রামের বিরোধপূর্ন এই দু’টি গোষ্টির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একারনে আরও এই সংঘর্ষটি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ এমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় দাঙ্গাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে ওসি মোঃ এমরান হোসেনও আহত হন।

আহত ওসি বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে ওসি তদন্ত প্রজিত কুমার দাশ নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বানিয়াচং থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ আরও জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় অপরাধীদেরকে ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। তবে আটক হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আটকের বিষয়টি এড়িয়ে যান।

কিন্তু এদিকে রাত ২ টা ২৯ মিনিটে আরজান আলী’শা তার স্রী রাফিয়া বেগম ও প্রতিপক্ষের এসএম হাফিজুর রহমানের স্রীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার কথাটি নিশ্চিত করেন।