১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৫:১৬

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বাহুবলে কলেজ ছাত্রকে নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার ২

হবিগঞ্জের বাহুবলে এক কলেজ ছাত্রকে খুঁটিতে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার মূল হোতা মা মেয়ে পলাতক রয়েছে।

সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতিত কলেজ ছাত্রের মা রাবিয়া খাতুন। উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী জাহানারা আক্তার লিপিকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

গ্রেফতারকৃত দুজন হলো বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের মূল অভিযুক্ত সালাউদ্দিন (৫২) ও মঈন উদ্দিন (৪০)।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামে কলেজ ছাত্রকে খুঁটিতে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন। রবিবার (০১ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।

বাহুবলে কলেজ ছাত্রকে নির্যাতন

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক ফয়সল মিয়া নামে ওই কলেজ ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছে। এ সময় ফয়সল বাঁচার জন্য আকুতি এবং বার বার আল্লাহ অল্লাহ বলে চিৎকার করছিল। কিন্তু এরপরও চলে বর্বর নির্যাতন।

নির্যাতিত ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার হাসেরগাঁও গ্রামের আহসান উল্ল্যার ছেলে। সে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স (গণিত বিভাগ) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও কোরআনের হাফেজ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দ্বিমুড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে মাহফুজা আক্তার লিজার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফয়সল মিয়ার। শুক্রবার দিবাগত রাতে দেখা করার জন্য লিজার বাড়ীতে যায় ফয়সল। এ সময় ফয়সলকে চোর আখ্যা দিয়ে আটক করে লিজার স্বজনরা। পরে খুঁটিতে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় তার ওপর নির্যাতন চলানো হয়।

পরদিন শনিবার সকালে খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ফয়সলকে উদ্ধার করে স্বজনের জিম্মায় দেয়। স্বজনরা তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে সিলেট সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

সোমবার বেলা আড়াইটায় নির্যাতিত কলেজে ছাত্র ফয়সলের বোন সিলেট হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে জানায়, আমার ভাই পাগল হয়ে গেছে, তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। এখন পর্যন্ত সে কাউকে ছিনতে পারছেনা।

বাহুবল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবীর মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্ঠা চলছে।”