সন্তান যখন ছোট থাকে, তখন মা কাদে তার সন্তান খায়না বলে, আর মা যখন বৃদ্ধ হয়, তখন মা আবারো কাদে, সন্তান কেন খাবার এনে দিচ্ছে না মাকে।
পৃথিবীর সকল মায়ের আচলের নীচেই সন্তানের সব সুখ। জীবনের শত কষ্ট বেদনা সহ্য করে গর্ভে ধারণ করা সন্তানের মুখ দেখলে মায়ের পৃথিবীর সব কষ্ট চলে যায়, আর সেই সন্তানই যদি মাকে কষ্ট দেয় তাহলে মায়ের দুঃখের অন্ত থাকেনা। জনম দুঃখিনী মা নিজে খাবার না খেয়ে সন্তানের মুখে তুলে দিতে পারলেই মায়ের সুখ।
বাবা বেঁচে নেই, মা অন্যের কাথা সেলাই করে সংসার চালান। ছেলে কিছুই করে না, তার স্ত্রীও আছে। সংসারে বিভিন্ন বিষয়ে অযথা মাকে মারধোর করে, বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে আবদার করে বসে মায়ের কাছে। বৃদ্ধ বয়সে যেখানে মা ছেলের তুলে দেওয়া খাবার খাওয়ার কথা সেখানে মা ছেলের খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে ব্যস্থ।
টাকা না পেলে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর, চাল দা দিয়ে কাঁটা থেকে বিভিন্ন ক্ষতি সাধন তার নিয়মিত কাজ। এনিয়ে বিভিন্ন সময় পরিবারের লোকজন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম সে হচ্ছে, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার তিমিরপুর গ্রামের মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে মিশন মিয়া (২১)।
ইতোপূর্বেও মিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। আজ ৮ অক্টোবর শুক্রবার রাতে আবার সে পরিবারের লোকজনকে রড, পাইপ দিয়ে আঘাত শেষে মাকে দা নিয়ে কুপ দিতে উদ্যত হয়, অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে থামায় এবং উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়।
রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সময় খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মহি উদ্দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৩৫৫ ধারা অপরাধে মিশন মিয়াকে ১০ মাস ১০ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এসময় তিনি আরো বলেন, মাকে কষ্ট দিয়ে কোন ছেলে পৃথিবীতে শান্তিতে থাকতে পারবেনা।