১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৩:১৭

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুর গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি

মোঃজাকির হোসেনঃ সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এরই মধ্যে বাংলাদেশ রোগতন্ত্র, রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষনা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর তথ্য অনুযায়ী ১০৭৬ জনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ জনের শরীরে ভাইরাসটি সংক্রমন করেছে, ১৫ জন সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরেছেন, এবং ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ।

এ অবস্থায় সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ শে মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সমস্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন, স্কুল, কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাময়ীক বন্ধের ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। ঘোষনার পরপরই লক্ষ্য করা যায় শহর থেকে মানুষের গ্রামে ফেরার প্রবণতা এবং ঢাকা শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ গ্রামে ফিরতেছে এবং (আইইডিসিআর) থেকে ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার প্রচার করা হচ্ছে ঢাকা ফেরতদেরও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য কিন্ত মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই নিয়ম নীতি কিছুই মানছে না।

এলাকাবাসী সুত্রে ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে তারা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন না। দিনের একটা সময় তারা বাড়িতে থাকলেও বিকেলের দিকে তারা যেখানে সেখানে ঘোরাফেরা করছে। এতে করে সংক্রমনের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

বিভিন্ন গ্রাম গুড়ে দেখাগেছে বাজার ছেড়ে গ্রামের গলির দোকান গুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী চা-স্টল। গ্রামের খেলার মাঠ গুলো বিকালে জনসমাগম স্থল হয়ে উটে।

উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলছেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আমরা আমাদের নিজেদের ভালটা উপলব্ধি করতে পারছি না, গণমাধ্যমের দিকে তাকালে একটা জিনিষ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে দেশের প্রতিটা জেলাতেই প্রশাসন খুবই তৎপর তারা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে একটু হার্ডলাইনেও যাচ্ছে। তারপরও সামাজিক দূরত্বটা সন্তোষজনক ভাবে তৈরী হচ্ছে না।”

এ বিষয়ে মাধবপুর থান অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসাইন হবিগঞ্জ নিউজকে বলেন, “প্রবাসী ও শহর থেকে ফেরা লোকদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝাচ্ছি, মাইকিং করছি, লিফলেট বিতরন করছি। বাজারে অভিযানে আমাদের দেখলে দোকান বন্ধ করে দেয়, চলে আসলে আবার খুলে। জনগনকে কে সচেতন করতে আমরা সর্বোচ্ছ চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনগন নিজেও সচেতন হতে হবে।”