১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৩:৪০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে সাইফুল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

হবিগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের ল্যাব টেকনোশিয়ান মোঃ সাইফুল ইসলামের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর উপজেলার মনতলা বাজারে স্থানীয় চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান আপন মিয়া ও বহরা ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান আরিফ এর নেতৃত্বে কয়েক হাজার লোকের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে শাহজালাল সরকারী কলেজ মাটে প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে এলাকাবাসীর দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মইনুল ইসলাম মইন, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার হেলেন , শাহজালাল সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ,সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি এড.আমিনুল ইসলাম মাধবপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আতাউছ সামাদ বাবু, ছাত্র নেতা আব্দুস সামাদ সুমন , আব্দুর রউফ মেম্বার, আহমদ আলী সরদার প্রমূখ।ছাত্রনেতা মনিরুল ইসলাম মন্টি পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সাইফুল ইসলামকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মঈনুল ইসলাম মঈন তার বক্তব্যে এলাকাবাসীর দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে সাইফুলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সাইফুলের খুনিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের খাজা গার্ডেন এর সামনে সন্ত্রাসী হামলায় সাইফুল গুরুতর আহত হয়। তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। তার মা-বাবা উভয়ই প্রয়াত। সাইফুল উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলাম নান্নু মাস্টারের ছেলে।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে আটটায় কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে তার বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।