১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৫:৩১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

পরপর কয়েকটি সালিশ বৈঠকে ব্যর্থ হয়ে নিরুপায় রিমা স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ে এখন প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে।

জানা যায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দক্ষিণ আব্দুলপুর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে রিমা আক্তার (২১) জীবিকার তাগিদে প্রায় ০৫ বছর পূর্বে চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেয়। এর সুবাদে রিমা চট্টগ্রামে অবস্থান করতে থাকে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আফজলপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আজদু নিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে তার প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে।

একপর্যায়ে হৃদয় তার পরিবারের অমতে প্রেমের টানে চট্টগ্রামে রিমার কাছে চলে আসে। পরে রিমা হৃদয় কে নিয়ে স্টিলমিল বাজার হাউসিং কলোনি রোড টিএসপি মোড় জসিম কলোনিতে একটি টিনশেড ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে।

২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড এর নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার কাজী মোঃ নুরুল হুদার কার্যালয়ে বহি নং-এ, বালাম নং-১৫/২০২০ পৃষ্ঠা নং- ০৬ তাদের বিয়ের কাবিননামা রেজিস্ট্রি হয়।

ওই ভাড়া বাসায় চার পাঁচ মাস বসবাস করে। পর ছেলের মা শিরিনা বেগম তার ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে একটি জিডি এন্ট্রির মাধ্যমে পুলিশ দিয়ে তার ছেলেকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনেন বলে জানান।

বাড়িতে আনার পর রিমার সঙ্গে তার বিয়ের সম্পর্ক অস্বীকার করতে থাকে হৃদয় ও তার পরিবার। পরে অসহায় রিমার পরিবার সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও একাধিকবার সালিশ বৈঠকে হৃদয়ের পরিবার অনুপস্থিত থাকে। পরে রিমা বাধ্য হয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আইনানুগভাবে শ্বশুরবাড়িতে বসবাসের অনুমতি প্রার্থনা করে একটি লিখিত আবেদন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি দ্রুত মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কে প্রেরণ করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান আরিফ জানান সড়ক দুর্ঘটনায় সারিরীক ভাবে গুরুতর অসুস্থ থাকায় আমি বিষয়টি নিয়ে বসতে পারিনি। কিন্তু বিষয়টির সত্যতা আছে। খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে বসবো। অপরদিকে মাধবপুর থানায়ও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান রিমা।

এতকিছুর পরও কোনো সুরাহা না পেয়ে  ৩১ই আগস্ট গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে স্বামীর অধিকার আদায়ে রিমা তার শ্বশুর
বাড়িতে অবস্থান নেয়। বুধবার বিকেলে হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় রিমা এবং হৃদয়ের মা হৃদযদের ঘরের একটি রুমে অবস্থান করছে। এ সময় রিমা জানায় আমি হৃদয়ের বিবাহিত স্ত্রী।

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার আদায়ের পূর্ব পর্যন্ত আমি বাড়ি থেকে যাব না। হৃদয় এবং আমি বিবাহিত স্বামী স্ত্রী আমাদের রেজিস্ট্রি কাবিননামা আছে আছে। হৃদয়ের মা শিরিনা জানান এই মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের কোন বিবাহ হয় নাই। হৃদয় কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানান এ বিষয়ে হৃদয়কে আমি শাসন করলে আজ এক মাস হয় সে বাড়ি থেকে রাগ করে চলে গেছে।