১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৯:১২

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

ময়নাতদন্ত শেষে নেত্রকোনায় গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন

হবিগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধুলিয়াখালে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার পিতা ও চাচার দাবি তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকালে তানিয়ার মরদেহ তার পিতা ও স্বজনদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়।

অপরদিকে তার স্বামী পুলিশ সদস্য সফিকুল ইসলামকে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। মঙ্গলবার ৪টায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনাটি নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। গতকাল রাতে তারাবিহ নামাজের পর তানিয়ার মরদেহ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বাগবেড় গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

গত ৩ মে সোমবার বিকেলে ধুলিয়াখাল পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকার একটি বাসা থেকে স্বামী সফিকুল ইসলাম স্ত্রী তানিয়ার ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সদর থানার এসআই সাইদুর রহমান লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

মঙ্গলবার সকালে তানিয়ার পিতা বুলবুল মিয়া, চাচা আলমগীরসহ স্বজনরা পুলিশকে জানান, তাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে সফিকুল ইসলাম হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এতে পুলিশেরও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। সদর থানার ওসি মাসুক আলী মর্গে গিয়ে লাশ দেখে আসেন। তানিয়ার পিতা ও চাচা আরও জানান, ৬ মাস আগে একই উপজেলার মর্নকান্দা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র পুলিশ কনস্টেবল সফিকুল ইসলামের নিকট বিয়ে দেয়া হয় তানিয়াকে।

বিয়ের পর থেকেই সফিকুল বিভিন্ন কারণে তাকে নির্যাতন করতো। বিষয়টি ফোনে তানিয়া তাদেরকে জানাতো। এমনকি তানিয়াকে সফিকুল বাইরে যাবার সময় তালাবদ্ধ করে যেতো এবং মাঝে মাঝে ব্যবহৃত ফোনটিও নিয়ে যেতো। ৩ মে সকালে তানিয়া ফোনে তার পিতাকে জানায়, সফিকুল তাকে মারধোর করেছে। বিকালের দিকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু তানিয়ার মৃত্যুর খবর সফিকুল দেয়নি। পাশের বাসার এক ব্যক্তি ফোন করে তাদেরকে জানালে মঙ্গলবার তারা হবিগঞ্জ আসেন। ফলে তাদের সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে। এ বিষয়ে তানিয়ার পিতা বাদি হয়ে সফিকুল ও তার ভাই রুবেল এবং মা রাশেদাকে অভিযুক্ত করে তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে মর্মে গতকাল রাতে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।