১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১:৫৭

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লালচান্দ চা বাগান ইস্যু। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ!

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিকটবর্তী চুনারুঘাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দেওন্দি টি কোম্পানির অধিনেস্থ লাল চান্দ চা বাগানে আকস্মিক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার কারণে আনুমানিক ২৫ হাজার কেজি চা পাতা তথা প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হওয়ায় হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (হপবিস) সদর দপ্তর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ করেছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ ।

চা বাগান অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৭জুন) দুপুরে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সদর দপ্তর শায়েস্তাগঞ্জের কিছু (৬-৭ জন) অসাধু কর্মকর্তা – কর্মচারীরা হঠাৎ লাল চান্দ চা বাগানে বিনা অনুমতিতে চা কারখানায় প্রবেশ করে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে চা কারখানায় হঠাৎ বিদ্যুৎ বন্ধ অবস্থায় ২৫ হাজার কেজি চাপাতার ক্ষতি সাধন হয় ।

পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তর এজিএম ইন্জিনিয়ার মোঃ সফিউল ইসলাম কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন , জুন মাস আসছে কিন্তু বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার কারণে ও বিগত মে মাসের বাগানে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আদেশে আমি নিজে উপস্থিত হয়ে ২৭ জুন লাল চান্দ চা বাগানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ।

এদিকে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র ব্যবস্থাপক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল , লাল চান্দ চা বাগানের পূর্বে দু’টি বিদ্যুৎ বিল পাওনা থাকায় বাগানে আকস্মিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় । তার পরেও আমরা দেওন্দি , নোয়াপাড়া ও লাল চান্দ চা বাগানের ম্যানেজার বসে একটি জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট করেছিলাম শুধু মৌখিক ভাবে । যার প্রেক্ষিতে আমরা বিদ্যুৎ লাইন পুনরায় সংযোগ দিয়েছি । চা বাগান ব্যবস্থাপক মোফাজ্জল হোসেন বলেন , হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি স্থাপিত হওয়ার পর চা বাগানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর কোনো সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হয় নি। বিদ্যুৎ বিলের পেছনে ” পল্লী বিদ্যুৎ এর কতিপয় সাধারণ বিধি ” ১ – ১৫ নিয়মাবলি লিখা আছে , সেই নিয়মাবলি উল্লেখ করে অনেক সময় বিদ্যুৎ বিল বিলম্ব মাশুল সহ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসা হচ্ছে । তাই আমাদের কোনো বিদ্যুৎ বিল পাওনা নেই । শুধু জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল জুলাই মাসের শেষ দিক দিতে হবে । তিনি আরো বলেন, বিগত মে মাসের বিদ্যুৎ বিল বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিল পরিশোধের তারিখ ছিল ২৪ জুন এবং ২৯ জুন বিলম্ব মাশুল সহ পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল। অথচ ২৯ জুন হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সদর দপ্তর সকালে ০৩৫ / ১৭৯০ হিসাব নম্বরে বিলম্ব মাশুল সহ পরিশোধ করা হয় ।

হপবিস সদর দপ্তর থেকে চা বাগানে কাহারো অনুমতি না নিয়ে চা কারখানায় প্রবেশ করে ২৭ জুন আকস্মিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে ২৫ হাজার চা-পাতা নষ্ট হয়ে যায় । এ অবস্থায় চা বাগানের শত শত চা শ্রমিকরা উওোজিত হয়ে বিক্ষোভ করলে হপবিস সিনিয়র ব্যবস্থাপক আলহাজ্ব মোঃ মোতাহের হোসেন এ ঘটনার খবর পেয়ে ৬ ঘন্টা পর পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয় । চা বাগানের আকস্মিক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় ১৫ লাখ টাকার চা-পাতা ক্ষতিগ্রস্থ করায় পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্থানে তদবির করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে অভিযোগ পাওয়া যায়।

অপর দিকে বাগানের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয় নজর আসলে লাল চান্দ চা বাগানের মানসম্মান ও ক্ষুন্ন হয়েছে এবং অর্থনৈতিক বিরাট ক্ষতির বিবেচনায় করে হবিগঞ্জের জজ কোর্টের সহকারী পিপি এডভোকেট মোঃ লুৎফুর রহমান তালুকদার বাগান কর্তৃপক্ষের পক্ষে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সদর দপ্তর এজিএম ইন্জিনিয়ার মোঃ সফিউল ইসলাম বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে উপরোল্লিখিত বিষয়ে ফৌজদারি অথবা দেওয়ানি আদালতে মামলা বা আইনানুগ ব্যবস্থা আপনাদের বিরুদ্ধে কেন গ্রহন করা হইবে না মর্মে পএ দেয়া হয়েছে।