১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ২:৫৮

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

শায়েস্তাগঞ্জে সমন্বয়হীন ত্রাণ বিতরণ, অনেকেই হচ্ছেন বঞ্চিত!

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুরঃ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সারাদেশের মতো হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের বাইরে বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ কর্মসুচি, কিন্তু এই ত্রাণ তৎপরতায় কারো সাথে কারো সমন্বয় না থাকায় যে যার মতো করে যেখানে সেখানে যাকেতাকে ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছেন।

এতে করে একজনে একাধিকবার ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছেন। অন্যদিকে এমনও গরীব লোক রয়েছেন যাদেরকে কেউ এখনো ত্রাণ দেয়নি।

এছাড়া সমন্বয়ের অভাবে পৌর শহর মহল্লায় ও ইউপির গ্রামাঞ্চলে ত্রাণ পাচ্ছে খুবই কম মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ থেকে উপজেলার পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলে প্রচুর ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন, পৌর মেয়র, প্রাণ আর এফ এল, সারোয়ার গ্রুপসহ বিভিন্ন ব্যক্তিও সংগঠন।

গত ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দিন ব্যাপি করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে খেটে খাওয়া অসহায়, দিনমজুর, হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে প্রতিদিন ৫শ হতে ৬শ পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি মশুর ডাল, ১ টি লাইফবয় সাবান, ১ প্যাকেট জিবানুনাশক পাউডারসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেন।

সারোয়ার গ্রুপের খাদ্যসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, শায়েস্তাগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ হাবিবুর রহমান হারুন, সারোয়ার গ্রুপের জেনারেল ম্যানাজার মোঃ সাদাত চকদার, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা অনলাই প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুরসহ অসংখ্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় সারোয়ার গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ সারোয়ার আলম শাকিল বলেন, “করোনাভাইরাস এর সংক্রমন রোধে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় খেটে খাওয়া অসহায়, দিনমজুর, হত দরিদ্রদের পাশে থেকে সারোয়ার গ্রুপ নিজ তহবিল হতে খাদ্য ও বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে এবং এ সহযোগিতা প্রতিদিন করে যাবে। দরিদ্র দুঃখীদের পাশে যদি সবাই মিলে দাড়ানো যায়, তা হলে কোন দরিদ্র লোক না খেয়ে থাকতে হবে না।“

মিস্টার সারোয়ার আরো বলেন, “করোনা ভাইরাস রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সবাইকে নিজ গৃহে অবস্থান করতে হবে। নিজের বাসস্থানের আশ পাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে সচেতন হওয়া ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নেই। এ দিকে গত ২৪ মার্চ হতে চলতি মাসে বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রতি ক্রেতাদের কাছে ৩ কেজি পেয়াজ ও ৫শ গ্রাম লবন ১১০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে।”

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার ও পৌর মেয়র ছালেক মিয়া বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু করে একদল স্বেচ্ছাসেবী সহযোগীতায় শহর ও গ্রামাঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রাণ আরএফএর এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণডোরা ইউপিতে ত্রাণ বিতরণ করে। কিন্তু উপজেলায় পৌর শহর ও ইউনিয়নে এলাকায় ত্রাণ বিতরণে কোন সমন্বয় না থাকায় অনেকেই একাধিকবার ত্রাণ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সেই সাথে পৌর শহরের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে অসহায় হত দরিদ্র মানুষ অনেকেই উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে জানান।

পৌর শহরের ৪ নং ওয়র্ডের মোঃ আমিন আলীর স্ত্রী বিলকিছ বেগম (৩৫) বলেন, “শহরে অনেকেই ত্রাণ দিচ্ছেন শুনছি, কিন্তু এ পর্যন্ত সরওয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকে যে চাল, ডাল, আলু, সাবান জিবানু নাশক পেয়েছি। অথচ উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে কোন কিছু পায়নি।