৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১২:০৯

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জের আব্দুল মোবিন পেলেন হাইকোর্টে বিচারপতির স্থায়ী নিয়োগ

এম এ রাজাঃ হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ১৮ জন বিচারপতির মধ্যে অন্যতম একজন আমাদের হবিগঞ্জের গর্ব এ এস এম আব্দুল মোবিন। উনার পৈত্রিক নিবাস হবিগঞ্জ জেলাধীন মাধবপুর উপজেলার স্বনামধন্য পাটুলী গ্রামে।

উনার পিতামহ মরহুম আব্দুল গনি ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। উনার বাপ-দাদার স্মৃতি বিজড়িত হবিগঞ্জ শহরের তিন কোনা পুকুর পাড়স্থ মুসলিম কোয়ার্টের গণি মঞ্জিল নামক বাড়ি খানা এখনো পূর্বপুরুষের স্মৃতি বহন করে আসছে।

বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এর পিতাও তৎকালীন সিলেট জেলার স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। এছাড়াও বিচারপতি মোবিনের পিতা মরহুম আব্দুল হাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহচর। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিলেটে রাজনৈতিক সফরে আসলে উনাদের আথিতিয়তা গ্রহণ করতেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের মামার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার পৃথিবীর বৃহত্তর গ্রাম বানিয়াচঙ্গে। বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক মোঃ হেমায়েত আলী খান বিচারপতি আব্দুল মোবিনের আপন মামাতো ভাই।

বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় হবিগঞ্জবাসী গর্বিত।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ১৮ জন অতিরিক্ত বিচারককে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ বিচারপতিদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

শুক্রবার (২৯ মে) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে তাদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সরোয়ার।

নিয়োগ পাওয়া এ এস এম আব্দুল মোবিন সহ অন্যান্য বিচারকরা হলেন- মো. আবু আহমেদ জমাদার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফাতেমা নজীব, মো. কামরুল হোসেন মোল্লা, এস এম কুদ্দুস জামান, মো. আতোয়ার রহমান, খিজির হায়াত, শশাঙ্ক শেখর সরকার, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন শামীম, মো. রিয়াজ উদ্দিন খান, মো. খায়রুল আলম, এস এম মনিরুজ্জামান, আহমেদ সোহেল, সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর, খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও কে এম হাফিজুল আলম।

তারা আগে থেকেই অস্থায়ীভাবে বিচারকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিয়োগ পাওয়ার মাধ্যমে এখন তারা স্থায়ী হলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শক্রমে এ নিয়োগ দিয়েছেন।