১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৪:২২

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা

আকিকুর রহমান রুমনঃ বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নন্দী পাড়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর ঘরে গলায় ফাঁশি লাগিয়ে আত্বহত্যা করার দৃশ্যটি দেখতে পান মা।

তিনি এমন দৃশ্য দেখার সাথে সাথে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে জুড়ো হয়। এসময় মা মেয়েকে বাঁচাতে ফাশ দেয়া ওড়নাটি কেটে ফেলেন।

এমনকি মা সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত লোকজন নিয়ে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে নিয়ে যান।

সেখানে হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা ডাক্তার জাহানারা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আসার পূর্বেই ছাত্রীটির মৃত্যু হয়েছে। রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে তিনি নিশ্চিত করেন।

আত্মহত্যার বিষয়টি থানায় জানানো হলে তাৎক্ষণিক বানিয়াচং থানার ওসি তদন্ত প্রজিত কুমারের নেতৃতে গৌতম রায়সহ একদল পুলিশ রাত দশটার দিকে হাসপাতালে আসেন।

হাসপাতাল থেকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশটি রাত সাড়ে ১২টার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেন কর্তব্যরত ডাঃ রাজীব ভট্টাচার্য।

এব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত প্রজিত কুমার দাসের মুঠোফোনে রাত ১টা ৩৪ মিনিটে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমন একটি সংবাদ পেয়ে থানা থেকে পুলিশকে হাসপাতালে পাটিয়ে লাশটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জে ময়না তদন্তের পাঠানোর জন্য থানায় আনা হয়েছে।

তবে ১২ জুন শনিবার সকালে লাশটি হবিগঞ্জে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে কোন কিছু বলতে পারছিনা।

তবে তিনি বলেন প্রাথমিক ভাবে যেটা শুনেছি যে, পিতৃহীন মেয়েটি নাকি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল। এমনকি তার মা তাকে ঘরে পড়ার মধো একা রেখে পাশেই একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। প্রায় আধঘন্টা পরে এসে দেখতে পান তার মেয়ে গলায় ওড়না লাগানো অবস্থায় ঝুলিয়ে আছে।

পরে তিনি নিজেই কেটে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবিষয়টি নিয়ে আমাদের টিম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১১ জুন শক্রুবার রাত সাড়ে আট ঘটিকায় ১ নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ নন্দী পাড়ায়।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, মৃত আরজান মিয়ার কন্যা মাদ্রাসা ছাত্রী। তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রেখে যান। তার স্রী মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতেন এবং বড় ছেলে থাকে প্রবাসে।

কেউ বলছে ঘটনার পূর্বে মেয়েটির মা যাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন কাজ করতে ঐ বাড়িরই এক ছেলে গিয়ে বলছে তুমার মেয়ে ফাঁস লাগিয়ে মারা গেছে! আবার কেউ কেউ বলছেন তিনি বাড়িতে এসে দরজা খুলে এই অবস্থা দেখেন। এ মৃত্যু নিয়ে নিয়ে এলাকায় রহস্যর সৃষ্টি হয়েছে।