হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে শরীফ উদ্দিন সড়কের পাশের গাছ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। কর্তনকৃত তিনটি গাছ আটক করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ পেয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, ৯ জানুয়ারী রবিবার সকালে বানিয়াচং উপজেলার শরীফ উদ্দিন সড়কের বনমথুরা নামক এলাকায় রাস্তার পাশের তিনটি ইপিল ইপিল (শিশু) গাছ চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাটছিলেন দু‘জন শ্রমিক।
এ সময় এলাকাবাসী বাধা দিলে মোতাব্বির হোসেন ও মোশাহিদ মিয়া নামক ওই দু‘জন শ্রমিক স্থানীয় বানিয়াচং ৪ নম্বর দক্ষিন-পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়ার নির্দেশে গাছ কাটছেন বলে এলাকাবাসীকে জানান।
এলাকাবাসী বাধা দিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিলে চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউএনও‘র নির্দেশে গাছ কাটছেন বলে জানান।
এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা ইউএনও পদ্মাসন সিংহ কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি এরকম নির্দেশ দেন নাই বলে জানান।
তখন এলাকাবাসী চেয়ারম্যান ও তার শ্রমিকদেরকে তাড়িয়ে দেন।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন ১০ জানুয়ারী ঘঠনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং ৪ নম্বর দক্ষিন-পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেখাছ মিয়া বলেন, আমি কোন গাছ কাটি নাই। গাছগুলো ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় রাস্তার পাশে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল। এলাকার কতিপয় লোক নিয়ে যেতে চাইলে আমি বাধা দেই। পরিত্যাক্ত গাছগুলো আমার ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসতে চাইলেও ইউএনও সাহেবের পরামর্শে আনিনি। গাছ ঘটনাস্থলেই রয়েছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী বাধা দিয়ে গাছগুলো আটক করেছে।চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া ও দু‘জন শ্রমিকের ব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। আমরা গাছগুলো নিয়ে আসবো এবং বিধি মোতাবেক স্থানীয় থানা কে অবহিত করবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলেন, সরকারি গাছ এভাবে চেয়ারম্যান সাহেব কর্তন করতে পারেন না। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তাদের বিষয় তারাই দেখবে।
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ২:৩০