১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৫:২৬

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বাহুবলের মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

বাহুবলে করোনাভাইরাসের মহামারীতে বৈশ্বিক পরিস্থিতীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গরীবের ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতকারী ৬নং মিরপুর ইউপি সাইফুদ্দিন এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলকাবাসী।

আজ সোমাবার (১১ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলার মিরপুর চৌমুহনীতে এলাকার ত্রাণ বঞ্চিত ও সর্বস্তরের জনগনের উদ্যোগে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিনের গদত্যাগ চাই, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভেস্তে যেতে দেবোনা, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় চাউল চোরের ঠাঁই নাই, চাউল চোর ও চাল আত্মসাতকারী চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন এর বিচারের দাবীসহ বিভিন্ন লেখাযুক্ত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এলাকার ভুক্তভোগী জনগন রোজার মাঝে প্রখর রোদে দাড়িয়ে মানববন্ধন করেন।

এসময় মানবন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, ত্রাণের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার আমাদের হাতে না দিয়ে স্বাক্ষর ও টিপসই জাল করে আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান।

তারা আরও বলেন, অন্য ইউনিয়নের একই পরিবারের তিন জনের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্তিসহ শতাধিক ভুয়া নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্তি করে ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে কর্মহীন নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

কিন্তু হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৬নং মিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন লিয়াকত এর ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মও আত্মসাতের ফলে এলাকার শত শত অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

ত্রাণের তালিকায় রয়েছে চেয়ারম্যান এর শশুড়, শাশুড়ী, শ্যালক, শ্যালকপুত্র, সমন্ধিকের বউ, ৩নং বউয়ের বড়বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন। অনেকেই আবার একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া মিরপুর বাজারের কয়েকজন বিশিষ্ট কোটিপতিসহ ১৮ জন ব্যবসায়ী রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপির কয়েকজন গ্রামপুলিশ ও দফাদারসহ এবং তাদের পরিবারের অনেক সদস্য। রয়েছে পছন্দসই লোক, ত্রাণ আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে গায়েবি তালিকা করা হয়েছে এবং পিতা/স্বামীর নামেও রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও গড়মিল। আবার অনেকের নাম তালিকায় থাকলেও ত্রাণ না দিয়ে তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ত্রাণ উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে।

ইতিমধ্যে ত্রাণ বঞ্চিত ২৬ জন ভুক্তভোগী হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারীরা চেয়ারম্যানের পেটুয়া বাহিনী কর্তৃক প্রতিনিয়িত বিভিন্নভাবে হুমকির স্বীকার হচ্ছেন। আর এসব হুমকির ফলে তালিকাভূক্ত আরও অন্যান্য ত্রাণ বঞ্চিত লোকেরা অভিযোগ দিতে ভয় পাচ্ছেন।

এছাড়া ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তাকারীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চেয়ারম্যান বাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ নিয়ে ফুঁসে ওঠছে ত্রাণ বঞ্চিত ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।