জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে প্রবাসিদের সহায়তায় নতুন ঘর পেল প্রতিবন্ধী মাহমুদা

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের অতিদরিদ্র প্রতিবন্ধী মাহমুদা খাতুন ও তিন শিশু সন্তানকে রেখে ১২ বছর আগে মার যায় স্বামী ফজর আলী।

অবুঝ তিনটি শিশু সন্তানকে নিয়ে পরের বাড়িতে অতি কষ্ঠে দিন কাটাতো মাহমুদা খাতুন। হাপানিয়া গ্রামে ৭ শতাংশ ভিটেমাটি থাকলেও এখানে বসবাস করার মতো কোন ঘর ছিলনা।

আত্বীয়স্বজনদের আশ্রয়ে এতদিন জীবন চলতো মাহমুদার। মাহমুদার এই অতিকষ্ঠের কথা শুনে ধর্মঘর ইউনিয়নের মধ্যপ্রাচ্যে থাকা রেমিটেন্স যোদ্ধারা মাহমুদার ঘর তৈরিতে এগিয়ে এলেন।

স্থানীয় যুবক সাইফুল ইসলাম জুনায়েদ বলেন, মাহমুদা তিনটি শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ কথা শুনে ধর্মঘর পশ্চিম অঞ্চলের প্রবাসে থাকা প্রবাসি বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা মাহমুদার পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করার সিন্ধান্তে একমত হন।

মাহমুদার ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের থাকার কোন ঘর ছিলনা। এখন প্রবাসিদের সহযোগীতায আমরা সুন্দর একটি ঘর পেয়েছি।

কুয়েত প্রবাসি রেমিটেন্স যোদ্ধা জসিম উদ্দিন ও কামরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অসহায় মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে দিতে পেরে অমরা নিজেদের ধন্য মনে করি। সবাইকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, এখন করোনাকালীন প্রবাসিরা একজন অসহায় মানুষের থাকার জন্য ঘর তৈরি করে দিয়েছেন এটি একটি মহৎ কাজ।