১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৯:০০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

ব্যাংক হিসাবে আগের মতোই স্বাভাবিক লেনদেন করতে পারবে ইভ্যালি

ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় প্রতিষ্ঠানটিসহ এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের পরিচালিত সব ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

নতুন করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবের স্থগিতাদেশ বাড়ায়নি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ফলে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে স্বাভাবিক লেনদেনে বাধা নেই। অর্থাৎ এখন থেকে ই-ভ্যালির ব্যাংক হিসাবে আগের মতোই স্বাভাবিক লেনদেন করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, আমরা নতুন করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবের স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি করিনি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে কিছু অভিযোগ ছিল, সে কারণে আমরা খতিয়ে দেখার উদ্দেশে ৩০ দিন স্থগিত করেছিলাম।

আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দিয়েছি এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবের স্থগিতাদেশও বৃদ্ধি করিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট ই-ভ্যালির ব্যাংক হিসাব ৩০ দিন স্থগিত রাখতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে চিঠি দেয় বিএফআইইউ। ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, ই-ভ্যালি লিমিটেডের নামে এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, ও এমডি মো. রাসেলের নামে পরিচালিত সব হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ক্ষমতাবলে পত্র ইস্যু তারিখ থেকে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

লেনদেন স্থগিতাদেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ এর ২৬ (২) ধারা বিধান প্রযোজ্য হবে।
এছাড়া বর্ণিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত হিসাবসমূহের হিসাব খোলার ফরম কেওয়াইসি হিসাব খোলার শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী এবং বর্ণিত সময়ে ওই হিসাবে ৫০ লাখ বা তার বেশি টাকা জমা ও উত্তোলন সংশ্লিষ্ট দলিলাদি পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পণ্য কিনলেই অর্থ ফেরতের অস্বাভাবিক ‘ক্যাশব্যাক’ অফার দিয়ে ব্যবসা করছে বাংলাদেশি ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার দেওয়া হচ্ছে।

এ ধরনের ব্যবসায়িক পলিসি বাজারে ব্যবসার প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে একচেটিয়া (মনোপলি) অবস্থার সৃষ্টি করছে ইভ্যালি, যা আইনের বরখেলাপ বলে মনে করে প্রতিযোগিতা কমিশন। এ অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর চিঠি পাঠায় সংস্থাটি।