১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৮:০০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

শ্রেষ্ঠ বিপণন বিক্রেতা – স্যালুট প্রতিবন্ধী তবুও ভিক্ষাবৃত্তি নয়

শ্রেষ্ঠ বিপণন বিক্রেতা – স্যালুট প্রতিবন্ধী তবুও ভিক্ষাবৃত্তি নয়- ( কর্মই শ্রেষ্ঠ ) আমি একজন শারিরীক প্রতীবন্ধী । ১৫ বছর ধরে আমি শারিরীক প্ৰতীবন্ধী । আমি ভিক্ষা না করে কাজ করে জীবন – জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছি ।

আমার বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৯ নং নিজামপুর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড বাতাসার গ্রামে । আমি নুর ইসলাম , বয়স -২৮ পিতা- মােঃ সদর আলী , আমার বাবা একজন গ্রাম পুলিশ অতি দরিদ্র , আমার পরিবার আমি সহ ৩ ভাই ও ৪ বােন ।

আমার বয়স যখন ১২ তখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশােনা করতাম । অভাবের কারনে আমার বাবা আমাকে একটি দোকানে চাকরিতে দিয়ে দেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০০৭ সালে কাজ করার সময় একদিন রাতে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি মটর বাইক আমাকে আঘাত করে চলে যায় ।

তাৎক্ষণিক ভাবে এলাকার মানুষ আমাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে ।

ঢাকার ডাক্তার বলেছেন আমার মাথার অপারেশন লাগবে । আমার পরিবারের গরু , ছাগল সবকিছু বিক্রি করে এবং এলাকার মানুষের সহযােগিতা নিয়ে আমার অপারেশন করানাে হয় । সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলাম এবং আমার পরিবারের কাছে টাকা পয়সা ছিল না ।

আমার পরিবার আমাকে বাড়িতে আনার সিন্ধান্ত নেয় । ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমি বাড়িতে ফিরে আসি । বাড়িতে ফেরার দীর্ঘদিন পর আমার বাম হাত বাম পা ( damage ) হয়ে যায় । তখন আমাকে চিকিৎসা করানাের মত টাকা আমার পরিবারের কাছে ছিল না ।

এই ভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলতেছি এবং এক পর্যায় আমি সহযােগিতার জন্য মানুষের কাছে সাহায্য চাই । এই ভাবেই মানুষের কাছে দীর্ঘদিন সাহযােগিতা নিয়ে জীবন – জিবীকা চালিয়ে যাচ্ছি । এমন সময় এক মহান মানুষের সাথে দেখা হয় ওনার কাছে সহযােগিতা চাওয়ার পর ওনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমার সমস্যা কিভাবে হয়েছে ।

আমি সবকিছু খুলে বলি ওনাকে এবং আমি ওনার কাছে দাবি করি আমার উন্নত চিকিত্সার জন্য। তখন তিনি আমাকে বললেন আমার পরিবারের কারাে কি মােবাইল নাম্বার আছে । আমি আমার পরিবারের মােবাইল নাম্বার ওনাকে দেই । ওনার নাম ANS Habibur Rahman ( Education & Develoment Consultant ) ওনার ফোন দিয়ে একটি ফটো তুলেন এবং আমার নাম্বার সহ আমার ফটো দিয়ে ওনার ফেসবুক একাউন্টে পােষ্ট করেন ।

এই পােষ্টটি দেখে একজন মহান মানুষ কুড়ি হাজার টাকা দেন আমার উন্নত চিকিৎসার জন্য । ওনি আমাকে ঢাকা থেকে ফোন দেন আমি ঢাকা আসার জন্য এবং ওনার কাছে যাওয়ার পর ওনি আমাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যােগাযােগ করেন ।

কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল বলে দিয়েছে এখানে আমার চিকিৎসা নেই এবং ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল বলে দিয়েছে হিন্ডিয়াতে উন্নত চিকিৎসা আছে যা অনেক টাকার প্রয়ােজন আমার পরিবারের পক্ষে এত টাকা দিয়ে আমার চিকিৎসা করানাে সম্ভব নয় ।

তাই আমি বাড়িতে ফিরে আসি । যিনি আমাকে কুড়ি হাজার টাকা দিয়েছিলেন এই টাকা দিয়ে আমি একটি ফ্লেক্সিলােডের ব্যবসা দেই । আমি মানুষের কাছ থেকে সহযােগিতা না নিয়ে এই কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে আমি মােবাইল ফোনের কার্ড হেঁটে হেঁটে বিক্রি করি ।

এই ভাবে আমি আমার জীবন – জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছি । এখন বর্তমানে আমি হবিগঞ্জের সব ধরনের পত্রিকা এবং মােবাইল ফোনের কার্ড বিক্রি করে জীবন – জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছি । আমি আপনাদের সকলের কাছে দোয়া সহযােগীতা প্রার্থী । মােবাইল নং : ০১৭৭৭-২৬৬৯০০ ।